মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মানবিক কাজের মাধ্যমে নিজেদের ফেলে আসা সোনালী অতীতের জানান দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অদৃশ্য এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে সবখানেই সমান ভাবে বিচরণ ছাত্রলীগের। জরুরী খাদ্য সরবরাহ কিংবা লাশ দাফন, কৃষকের পাশে দাঁড়ানো সহ দুর্দান্ত সব কাজে বাহবা কুড়িয়েছে দেশব্যাপী। ছাত্রলীগকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তবে করোনার এই সংকটকালীন মুহুর্তে ভারত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
প্রান্ত বড়ুয়া, পড়েন চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে। তার বাবা দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে ভ্যালুরে বিগত কিছুদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৩ই জুলাই তার বাবা ভারতে পরলোকগমন করেন। এরপই বাধে বিপত্তি, করোনার এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশে বসে বাবার লাশ অনেক চেস্টার পরেও সে আনতে ব্যর্থ হোন। এরপরে সে মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আরমান চৌধুরীকে বিস্তারিত জানালে তিনি ভারত শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন পারভেজকে জানান। সুমন পারভেজ ঘটনা শুনেই মানবতার সেবায় হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ভারত শাখা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারন সম্পাদক মিয়া রাহীক হোসেন’র সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে লাশ বাংলাদেশে আনতে সক্ষম হোন। এর মাধ্যমে, বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে পান তার ছেলে। এই ঘটনাটি সর্বমহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর মানুষ ছাত্রলীগকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রান্ত বড়ুয়া আবেগজড়িত কন্ঠে আজকাল’কে বলেন, ‘ক’দিন আগে বাবা ভারতের ভ্যালুর এ পরলোকগমন করেন। বর্তমান এই মহামারীর সংকটময় পরিস্থিতিতে বাবার মরদেহ বাংলাদেশে আনা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তখন বাবাকে শেষ বারের মত দেখার আশা প্রায় হারিয়ে ফেলছিলাম। কিন্তু আমাদের এই চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে সাহস জুগিয়ে পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারত শাখার সাধারন সম্পাদক রাহীক ভাইয়া, ভারত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন পারভেজ ভাইয়া। তারা না হলে হয়তো আজ বাবাকে শেষ দেখাও হতো না। তাদের এই আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়নি কারন আমি জানি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিজন কর্মী আন্তরিক। এই আন্তরিকতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া আর কোন সংগঠনে আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। আমি নিজে গর্ববোধ করছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের একজন সদস্য হয়ে। প্রিয় এই সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারত শাখার সাধারন সম্পাদক রাহীক ভাইয়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন পারভেজ ভাইয়া, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ শাখার ছাত্রনেতা আমার প্রিয় ভাই আরমান চৌধুরী ভাইয়াদের প্রতি সর্বোপরি বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি US Bangla এর সকল কর্মকর্তাদের প্রতি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মামা সৈকত বড়ুয়ার প্রতি।’