নাজমুল ইসলাম কাজল, ইতিবাচক রাজনীতির এক অন্য নাম
ইতিবাচক রাজনীতি আমাদের সবার কাম্য। বর্তমান প্রজন্ম ” আই হেইট পলিটিক্স” এ ঢুকেছে বেশ আগেই। তবুও আশা জাগায় কিছু ঘটনা, কিছু ব্যক্তিত্ব, কিছু রাজনৈতিক প্রতিভা। আমরা যে প্রায়ই বলি মানুষ জন্মগতভাবেই রাজনৈতিক জীব। কিন্তু এই কথাটির মর্ম আমরা কতটা উপলব্ধি করি? অবশ্য এর জন্য দায়ী কিছু রাজনৈতি ব্যক্তি যারা যুগে যুগে নিজেদের প্রয়োজনে রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে। তাহলে আমরা সেই ব্যক্তিদের ঘৃণা না করে কেন রাজনীতিকে ঘৃণা করব?
আমি একজন পিতা মুজিবের প্রকৃত সৈনিকের কথা বলব যার রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার আমাকে আশা জাগানিয়া করে তোলে।
জনাব নাজমুল ইসলাম কাজল। বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়ন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বর্নপদকপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও ৮৮ যশোর-৪ নির্বাচনী এলাকা থেকে নৌকা প্রতীকের অন্যতম দাবিদার তিনি। রাজনীতিতে গ্রুপিং-লবিং, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এগুলা থাকবেই। এই মানুষটিকে খুব ছোট বেলা থেকেই দেখেছি বাঘারপাড়ার আওয়ামী রাজনীতির মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াতে। সুদর্শন, স্মার্ট, রচিশীল একজন মানুষ তিনি। আমি আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো দেখিনি বা শুনিনি যে তিনি একটি বারের জন্যেও কারো চাকরির তদবিরের কথা বলে কর্মীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছেন, দুই পক্ষের মারামারি বা রেশারেশিকে পুজি করে থানায় কারো পক্ষে কথা বলে টাকা হাতিয়েছেন, কোন কর্মীর আবেগকে পুজি করে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন যা এখন হরহামেশা হচ্ছে। নাজমুল ইসলাম কাজলের অন্যতম একটি বৈশিষ্ঠ হল তিনি নিজের কষ্টের রোজগার করা টাকা দিয়ে রাজনীতি টা করেন। বুকে হাত দিয়ে বলুনত, কয় জন করে এই কাজ টা?
আরেকটা উল্লেখ করার মত বিষয় হল আমরা সাধারনত কি দেখি? একটা নির্দিষ্ট এলাকায় প্রার্থী যারা থাকেন একই পদের জন্য সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, অনেকেই নির্দিষ্ট একটা সময় বসে থাকেন। কারন একটা নির্বাচনের পর সবাই হাওয়াই গা ভাসায়। বাতাস বুঝে চলার চেষ্টা করেন, ধীরে চল নীতিতে আগাতে চান। কারন রাজনীতির মাঠে থাকতে গেলে টাকা খরচ হয়। কিন্তু নাজমুল ইসলাম কাজলকেই দেখেছি পুরোটা সময় মাঠে থেকে তৃণমুলের আশার প্রদীপ হয়ে থাকতে। নিজের মেধা, সততা ও কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে রাজনীতি করা স্থানীয় পর্যায়ে সত্যিই অনুকরণীয়। মাদক ছেড়ে খেলার মাঠে চল স্লোগান নিয়ে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন গ্রাম থেকে গ্রামে, পাড়া থেকে মহল্লায়। অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। এই মানুষটিকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি কারন উনি তৃণমুলের আওয়ামী লীগকে কদর করেন। প্রাপ্য সম্মান দিতে জানেন। তৃণমুল পর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন, পকেট ভারি করা তাদের উদ্দেশ্য নয়, তারা চায় প্রাপ্য সম্মান।
ঠিক মুদ্রার উল্টা পিঠটা দেখলেই অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। আমাদের আশার বাতিঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরকে প্রাধান্য দেবার কথা বলেছেন তখন আমি আশা করতেই পারি যে তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে, দীর্ঘ ১০ বছর বাঘারপাড়ার তৃণমুলকে আগলে রাখার পুরস্কার হিসাবে, যশোর-৪ নির্বাচনী এলাকাকে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে প্রমাণ করতে, কোন্দলমুক্ত বাঘারপাড়া গড়তে নাজমুল ইসলাম কাজলকেই তিনি বেছে নিবেন।
সময় এসেছে আওয়ামী লীগকে যারা পারিবারিক সম্পদ বানিয়েছেন, তৃণমুল আর পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগারদের প্রাপ্য সম্মান নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, নিজের অহংকার আর জিদকে প্রতিষ্ঠিত করতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছে, একই পরিবারের মধ্যে দুইটা করে গ্রুপ করে রেখেছে, অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছে, কর্মীদের আবেগকে পায়ে মাড়িয়েছে যখন ইচ্ছা খুশি, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির হাতে নৌকা প্রতীক তুলেছে তাদেরকে না বলার।
জয় হোক শুভ রাজনীতির, জয় হোক তৃণমুল আওয়ামীগের, জয় হোক নৌকার।
লেখকঃ আ,ফ,ম রিয়াজ উদ্দিন মানিক।
সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।