বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
পিঠাপুলির উৎসবে মুখরিত বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস- ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঝতুতেই আছে তার নিজস্ব ছন্দ।আষাঢ়ের বারিধারা, শরতের কাশফুল, শীতের কুয়াশা কি নেই বাংলার রূপে।আর প্রতিটি ঋতুতে রয়েছে তার স্বতন্ত্র ঐতিহ্য। তারই ধারাবাহিকতায় শীতের অন্যতম ঐতিহ্য পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগ।
‘বাংলার পিঠা জমবে শীতে, পিঠাপুলির মহোৎসবে ’ এই স্লোগানে মঙ্গলবার দিনব্যাপী প্রশাসনিক ভবনের সামনে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা ১৬ টি স্টলে অর্ধশতাধিক পদের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় র্যালির মধ্য দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব।
তিনি এ উৎসবে নানা পদের পিঠার সমাহারে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবে উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিলো পাকসোস,বিস্কুট পিঠা,ভাজাপুলি, পাকসোস,ঝিনুকপিঠা,বরফি,পুডিং,জামাইপিঠা, রসপান পিঠা,ভাপা পুলি, পুডিং, ক্ষীর পাটিসাপটা, গোলাপ পিঠা, ক্ষীর সন্দেশ, ক্ষীর মালাই, পায়েস, ফিতামুং, বরাপিদে, হলা পিদে, বিনি পিদে ইত্যাদি।
পিঠা উৎসব কমিটির সদস্য সচিব দীপংকর কর্মকার বলেন,
প্রতিবছরের ন্যায় ১৪৩০ উপলক্ষে বাংলা বিভাগ তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবকে কেন্দ্র করে তন্বী সাহাকে আহবায়ক ও দীপংকর কর্মকারকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি সকল কার্যক্রম তদারকি করছে। এবারের আয়োজনে
ছয়টি ব্যাচের প্রত্যেকটিকে দুটি করে স্টল দেয়া হয়েছে। নিজস্ব স্টলও দিয়েছে দুই শিক্ষার্থী।
এছাড়া আধিবাসী শিক্ষার্থীরাও তাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও খাবার প্রদর্শন করছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা না দিলে আমাদের পিঠা উৎসবটি
রাত নয়টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।